এই ৭টি অসুবিধা হতে পারে অতিরিক্ত মুলা খেলে,জেনে নিন কি কি অসুবিধা হতে পারে - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday, 27 February 2022

এই ৭টি অসুবিধা হতে পারে অতিরিক্ত মুলা খেলে,জেনে নিন কি কি অসুবিধা হতে পারে




 অত্যধিক মুলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

 

 ১. কিডনির জন্য ক্ষতিকর:


 মূলা প্রকৃতিতে মূত্রবর্ধক, যার মানে এটি আমাদের শরীরে প্রস্রাবের উৎপাদন বাড়ায়।  এমন অবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে।  মুলা একটি মূত্রবর্ধক হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, তবে আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে মূলা খান তবে এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত জলের অভাব ঘটাতে পারে, যার কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।  শরীর থেকে অতিরিক্ত অতিরিক্ত জল কিডনির ক্ষতি করতে পারে।  এমন পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের সীমিত পরিমাণে মূলা খাওয়া উচিৎ।



২. থাইরয়েড রোগী:


 থাইরয়েড রোগীদের জন্য কাঁচা মুলা খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয় না।  তবে থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে মূলাকে উপকারী বলে মনে করা হয়।  কিন্তু আপনি যদি কাঁচা মুলা খান তবে তা ক্ষতিকারক হতে পারে।


 প্রকৃতপক্ষে, কাঁচা মুলাতে গয়েট্রোজেন নামক একটি যৌগ থাকে, যা থাইরয়েড হরমোনের সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং থাইরয়েড গ্রন্থির ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে।  মুলা পাকলে এতে গয়ট্রোজেনের প্রভাব কমে যায়।  তাই আপনি যদি থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে মুলা কাঁচা নয়, রান্না করে খান।  বিশেষ করে সালাদ একেবারেই খাবেন না।  আপনি মুলা সিদ্ধ করতে পারেন বা পরোটা হিসাবে খেতে পারেন।  এটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।  তবে কাঁচা মুলা একেবারেই খাবেন না।


৩. উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে:


 সীমিত পরিমাণে মুলা খাওয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আসলে, মূলায় পটাসিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে, যা রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে।  এটি আপনার শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে।  কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মূলা খান, তবে এটি আপনার রক্তচাপকে অস্বাভাবিকভাবে নিম্ন স্তরে নিয়ে যেতে পারে এবং হাইপোটেনশন বা নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে।



 একই সময়ে, আপনি যদি ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ সেবন করেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় মূলা অন্তর্ভুক্ত করবেন না।  এটি আপনার রক্তচাপের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

 

৪. আয়রন অতিরিক্ত:


 নিয়মিত মুলা খেলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে।  এটি রক্তাল্পতার চিকিৎসায় কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।  যাইহোক, যদি আপনার শরীরে প্রচুর আয়রন থাকে এবং আপনি এখনও অতিরিক্ত পরিমাণে মূলা খান তবে এটি আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।  কারণ শরীরে অতিরিক্ত আয়রন অনেক ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে যেমন পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, মাথা ঘোরা, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া, লিভারের ক্ষতি, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত।  তাই রক্তে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকলে সীমিত পরিমাণে মূলা খান।


৫. হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ:



 যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন তাদেরও বেশি পরিমাণে মূলা খাওয়া উচিৎ নয়।  আসলে, মূলা আপনাকে কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং এতে উপস্থিত চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।  মূলার একটি খুব কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, যার অর্থ হল এটি রক্তে চিনির নিঃসরণকে ধীর করে দেয় এবং এইভাবে রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ স্পাইক প্রতিরোধ করে।


 এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি ডায়াবেটিসের ওষুধের সঙ্গে মূলা খান, তাহলে আপনার শরীরে চিনির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে।  যা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।  আপনি যদি ডায়াবেটিসের ওষুধের সাথে মুলা খেতে চান, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার বা আপনার ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন।


 ৬. ডিহাইড্রেশন সমস্যা:


 মূলা খেলে শরীরে পানি সরবরাহ করতে পারে।  তবে বেশি পরিমাণে মূলা সেবন করলে তা পানিশূন্যতার কারণও হতে পারে।  আসলে, মূলার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনাকে ঘন ঘন প্রস্রাব করতে প্ররোচিত করে।  এমন পরিস্থিতিতে আপনার শরীরে যদি খুব বেশি পানি কমে যায়, তাহলে আপনার ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।  তাই সীমিত পরিমাণে মূলা খান।


৭. শরীরে আঁশের আধিক্য:


 নিয়মিত মূলা সেবন আমাদের পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।  এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।  এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।  এটি ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা মলত্যাগের উন্নতি করে।  তবে মনে রাখবেন শরীরে আঁশের আধিক্য থাকাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।  অত্যধিক ফাইবাক খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অন্ত্রের গ্যাস, অন্ত্রে বাধা ইত্যাদি হতে পারে।


 মুলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।  তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে মূলা খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে।  তাই সীমিত পরিমাণে মূলা খান।  একই সময়ে, কিছু গুরুতর পরিস্থিতিতেও মূলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।  আপনি যদি ইতিমধ্যেই কোনও সমস্যায় ভুগছেন, তবে আপনার ডাক্তারের পরামর্শে মূলা খান।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad