নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা : মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে
বাংলাদেশে। ২০১৭ সালের সামরিক দমন অভিযানের সময় দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজার জেলায় ১. ২ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।মায়ানমারে জান্তা সরকার এবং আরাকান আর্মি বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে, গত দুই মাসে নতুন করে ৬০, ০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রবিবার এমন দাবি করেছে বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির মাধ্যমেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সহজতর হয়েছে কারণ কিছু লোক অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে সহায়তা করে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন তার ব্যাংকক সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, যেখানে বৃহস্পতিবার লাওস, থাইল্যান্ড, ভারত, চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তৌহিদ হোসেন ঢাকায় ব্যাখ্যা করেছেন,
"আমাদের নীতিগত অবস্থান হল আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে না দেওয়া। তবে অনেক সময় পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে আমাদের আর কিছু করার থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছি। এমনটা নয় যে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ঢুকতে দিয়েছি। তারা বিভিন্ন রুট দিয়ে প্রবেশ করেছে ” ।
তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢেউ আগের মত আর হবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন। "তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সেই ঢেউ বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে " ।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান সোয়েও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেশী দেশগুলো মিয়ানমারের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন যোগ করেন, বৈঠকে থাকা সব দেশ মিয়ানমারকে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করতে বলেছে।
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে আরও কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তৌহিদ হোসেন বলেন, যারা এখন বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করা সম্ভব নয়।
সুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে হোসেন বলেন, "আমি তাকে (থান সোয়ে) বলেছি যে মিয়ানমার সীমান্ত আপনার নিয়ন্ত্রণে নয়। সীমান্তটি নন-স্টেট অ্যাক্টরদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাষ্ট্র হিসেবে আমরা নন-স্টেটের সঙ্গে জড়িত হতে পারি না। তাই রাষ্ট্রীয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
No comments:
Post a Comment