ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের উন্নতিতে রক্তশূন্যতার সমস্যায় বিটরুট খাওয়া খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
এছাড়া হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়ও বিটরুট খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এখানে কিছু বিশেষ উপায় জানাবো যার মাধ্যমে বিটরুট খাওয়ার সম্পূর্ণ উপকার পাওয়া যাবে।
খালি পেটে রস পান:
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিটরুট থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে হলে এর রস খালি পেটে পান করুন। এর জন্য বিটরুট ছোট ছোট টুকরো করে কেটে গ্রাইন্ডারে দিয়ে অল্প জল যোগ করুন যাতে এটি ভালভাবে পিষে যায়। এবার ছেঁকে এর রসে লেবুর রস ও সামান্য কালো লবণ মিশিয়ে পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। এর সাথে রক্তশূন্যতায়ও উপকারী হবে। এটি ত্বকের সমস্যাও দূর করে।
বীটের পেস্ট দিয়ে রুটি :
বিটরুট ব্যবহার করার আরেকটি উপায় হল এটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পেস্ট তৈরি করা। ময়দার মধ্যে এই পেস্টটি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রুটি বা পরোটা বানিয়ে খান। চিলার জন্য বিটরুটের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন
স্যালাড :
বীটরুট খাওয়ার তৃতীয় স্বাস্থ্যকর উপায় হল এটি স্যালাড আকারে খাওয়া। এজন্য প্রথমে বিটরুট সিদ্ধ করে নিন। এবার খোসা ছাড়িয়ে স্যালাডের মতো কেটে নিন। চাইলে সরাসরি বা স্যান্ডউইচে রেখে খেতে পারেন।
বীটরুট পাউডার :
এ জন্য প্রথমে বিটরুট ছেঁকে নিয়ে কিছুক্ষণ হালকা রোদে রেখে শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে নিন। এই পাউডার আপনি খাবারে নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার কাছে তাজা বিটরুট পাওয়া না যায় তবে আপনি এটি জলে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এছাড়াও এটি কেক বা অন্যান্য অনেক কিছুতে ফুড কালার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
No comments:
Post a Comment